ঢাকা রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫

হদিস নেই ৭ হাজার রোহিঙ্গার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে  বাংলাদেশে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের বেশি । নিবন্ধন ছাড়াও আছেন অনেকে। মিয়ানমার থেকে আসা ও এ দেশে জন্মগ্রহণ মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন প্রায় ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আছে। ইতিমধ্যে ৩৭ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে হদিস নেই ৭ হাজার রোহিঙ্গার। তারা আবারও কক্সবাজারের ক্যাম্পে ফিরেছেন  বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।  

হত্যাকাণ্ড, মাদক কারবার, চোরাচালান, অপহরণ ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে জড়াচ্ছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরতরা। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে মিয়ানমারের আরাকান স্যালভেশন আর্মিসহ (আরসা) ১১টি সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয়। অন্যদের মধ্যে রয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, মাস্টার মুন্নার দল, চাকমা ডাকাত দল, নবী হোসেন ডাকাত দল, পুতিয়া ডাকাত দল, জাকির ডাকাত দল, সালমান শাহ ডাকাত দল, খালেক ডাকাত দল ও জাবু ডাকাত দল। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশে প্রায় ঘটছে অপহরণও। বাঙালিরা অপহরণের শিকার হচ্ছেন।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য ৯০০ মিলিয়ন চেয়ে পাওয়া গেছে ৬০০ মিলিয়ন। ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা চেয়ে মিলেছে এর ৫০ শতাংশ। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জেআরপিতে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও পাওয়া যায় ৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে প্রতিশ্রুত ১০০ কোটি ডলারের বিপরীতে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ২০১৯ সালে ৯২ কোটি ডলারের বিপরীতে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাওয়া গিয়েছিল। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রতিশ্রুতির চেয়ে যথাক্রমে ৬০, ৭৩ ও ৬৩ শতাংশ সহায়তা পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, মাসে জনপ্রতি ১২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে ডব্লিউএফপিও। এ হিসাবে প্রতি মাসে খাবার খরচ বাবদ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এটা কমে এখন ৭০ থেকে ৭৫ কোটিতে দাঁড়াবে। ২০২৩ সালে তহবিল ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গাদের মাথাপিছু খাদ্য সহায়তা ১২.৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১০ ও এর পর ৮ মার্কিন ডলার করা হয়। পরে ফের সেটি ১২.৫০ মার্কিন ডলার করা হয়েছে।

একাধিক কর্মকর্তা বলেন, খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, লিগ্যাল সাপোর্ট, প্রটেকশনসহ বেশ কিছু বিষয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের বাজেট থেকে রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করা হয়। তবে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) আড়াই হাজারের মতো ফোর্স রয়েছে। তাদের খরচ জোগাচ্ছে বাংলাদেশ। আবার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে ৪২ জন কাজ করছেন। তাদের বেতন-ভাতাও দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।