গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার বেশিরভাগ হামলা সংঘবদ্ধভাবে জনতার মাধ্যমে ‘মব’ সংঘটিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো পুলিশ সদস্য জনসাধারণের হাতে মারধর বা লাঞ্ছিত হন, তবে পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ডিআইজি (অপারেশন)।
বুধবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ বার্তা দেন তিনি।
বার্তায় তিনি বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্য জনসাধারণের হাতে মারধর বা লাঞ্ছিত হন, তবে পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করবে। প্রতিটি জেলার এসপি এই বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
তবে এই বার্তার বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কর্মকর্তারা কিছু জানাতে পারেননি। পুলিশ বাহিনীতে এমন বার্তার পর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
কিছু পুলিশ সদস্য জানান, পুলিশকে আরও শক্তিশালী হতে হবে, আবার কেউ কেউ চাইছেন, এই ধরনের নির্দেশনা প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হোক। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মধ্যে মনোবল অনেকটাই কমে গেছে এবং অপরাধীচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। খুন, ছিনতাই, ডাকাতি বেড়ে গেছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে দেশে ২৯৪ জন খুন হয়েছেন এবং এক হাজার ৪৪০ জন নারী-শিশু নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া, পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ট্রমা এবং মানসিক চাপে থাকা সদস্যরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :