ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

১ বছরে পরিবহনে ১ হাজার ৭৫৮ জন নারী নির্যাতিত; ধর্ষিত ৪১: সেভ দ্য রোড

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই এক বছরে রেল, নৌ ও সড়কপথের পাশাপাশি রেল-নৌ-বাস স্টেশন এবং ফুটপাতে নারী শ্লীলতাহানি-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৭৫৮ এতে ধর্ষিত হয়েছেন ৪১ জন নারী।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে কেন্দ্র করে গণপরিবহনে নির্যাতন-ধর্ষণরোধে কঠোর শাস্তি ও ৪০% নারী আসনের দাবিতে ৭ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে থেকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা।

শান্তা ফারজানা জানান, গত ১ বছরে রেলপথে ৫৬২ টি নির্যাতন, ১১ টি ধর্ষণ, সড়কপথে ৪১৩টি নির্যাতন ও ২০ টি ধর্ষণ,  নৌ-পথে ৩২৫টি নির্যাতন ও ৫টি ধর্ষণ, এবং রেল-নৌ-বাস স্টেশন ও ফুটপাতে ৪৫৮টি নির্যাতনে মোট ৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ সমাবেশে সেভ দ্য রোড-এর প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য রোড-এর ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, সদস্য ওয়াজেদ রানা, কন্ঠশিল্পী রিয়া খান, রিয়াদ ইসলাম, কাজী মুন্নী আলম, মেহেদী হাসান, মোনালিসা দেওয়ান অশ্রু প্রমুখ। 

এ সময় সেভ দ্য রোডের পক্ষ থেকে নির্যাতন, নিপীড়ন ও ধর্ষণ রোধের পাশাপাশি সড়ক, রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনা রোধে ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো—

১. প্রতি ৩ কিলোমিটারে পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন।
২. মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দুর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণা করা।
৩. সব সড়ক প্রশস্ত করা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত করা।
৪. সড়কপথে ধর্ষণ ও হয়রানি রোধে ফিটনেসবিহীন বাহন নিষিদ্ধকরণ, ৪০ শতাংশ নারী আসন নিশ্চিতকরণ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ চালক-সহযোগী নিয়োগ ও হেলপারদের জাতীয় পরিচয়পত্র, গ্যারেন্টারসহ ডেটাবেজ তৈরি ও সক্রিয় রাখা।
৫. সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে কমপক্ষে ২০ লাখ এবং আহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান।
৬. ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়ন এবং ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ গঠন।
৭. সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে সতর্কতা সৃষ্টি করা এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠনের আগ পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ও সচেতনতা বাড়ানো।