পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে: ড. ইউনূস

বাসস

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম

পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে: ড. ইউনূস

ছবি: সংগৃহীত

পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে—এমন অভিযোগ করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটা আমরা যুদ্ধের সময় ছিলাম।’

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সরকারকে সহযোগিতা করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের বিশ্বে নারীরা যতটুকু অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করছেন, তা পুরোপুরি তাদের আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা হয়েছিল নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারের জন্য সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশেও নারীরা ন্যায্য অধিকার আদায়ে যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম করে এসেছে। তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে বাংলার নারীসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘ইতিহাসের অনেক বীর নারীদের আমরা ভুলে গেছি, তাদের অবদানের কথা জানি না। কিন্তু জুলাই কন্যাদের নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের কথা আমরা কিছুতেই ভুলে যেতে দেব না।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব নয়। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।’

সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদের উৎসাহিত হয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা আমাদের প্রত্যাশিত পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি বাবা-মা, ভাই-বোনের অধিকার নিশ্চিত ও স্বীকৃত থাকবে।,

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমাদের নতুন করে নারীদের সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়, অনুপ্রেরণা ও সাহস জোগায়। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি আহ্বান জানাই—যত বাধাই আসুক না কেন, ইতিহাস আমাদের যে সুযোগ করে দিয়েছে, তা আমরা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাবো। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বই—এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

আরবি/একে

Link copied!