পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে আমাদের পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানো অতীব জরুরি।
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পাটজাত পণ্য জনগণের কাছে সহজলভ্য করতে কাজ করছে সরকার।
রোববার (৯ মার্চ) পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পাটপণ্য জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার, মনিপুরীপাড়া, ফার্মগেটে আয়োজিত "বহুমুখী পাটপণ্য মেলা ও তাত বস্ত্রমেলা-২০২৫"-এর স্টল পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পাট আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক এবং পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাত। সরকার পাট খাত পুনর্জীবিত করতে নীতি সহায়তা দিচ্ছে, তবে উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। উপদেষ্টা মেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং পাটপণ্যের প্রসারে আরও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও এসব পরিবেশবান্ধব পণ্য ছড়িয়ে দিতে হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতর সংস্থা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সাথে একসাথে কাজ করা হচ্ছে।
উপদেষ্টাদ্বয় মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং দেশীয় পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের প্রশংসা করেন। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিনাত আরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
মেলায় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য প্রদর্শন করেন, যার মধ্যে ছিল ব্যাগ, গৃহস্থালি সামগ্রী, ফ্যাশন পণ্য, জুতা ও আসবাবপত্র।