বোনের বাড়িতে যেতে চায়নি। অনেকটা জোর করেই পাঠিয়েছিল মা।
আবার একদিন আগেই মাকে ফোন করে জানিয়েছিল বাড়িতে চলে আসবে।
তখনও মা বলেছিলেন তিনি নিজেই গিয়ে আনবেন।
কিন্তু এরমধ্যেই ঘটে গেল অঘটন। আটবছরের শিশুটি হলো ধর্ষণের শিকার।
মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এমন পাশবিক ঘটনার শিকার শিশুটির মায়ের এখন সেই দুই আক্ষেপ।
কেন জোর পাঠালেন, আবার কেন আরও দুদিন থাকতে বলেছিলেন।
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালটির বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) ওর চিকিৎসা চলছে।
সেখানেই রয়েছেন শিশুটির মা। সেই কথাগুলোই এখন বারবার তুলছেন তিনি। করছেন হাহাকার।
একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে রোববার (৯মার্চ) কথা বলার সময়ও তার মুখে সেই আক্ষেপ।
শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ে বোনের বাসায় যেতে চাইছিল না। জোর করে পাঠাইছিলাম।’
‘যদি না পাঠাইতাম তাহলে এই অবস্থা হতো না।’
‘ইশ্! ক্যান যে পাঠাইছিলাম!’
ঘটনার আগেরদিন তাকে কান্নাকাটি করে বাড়ি চলে আসার কথাও জানান তিনি।
কিন্তু নিজে গিয়ে নিয়ে আসবেন বলে আরও দুদিন থাকতে বলেছিলেন, জানান তিনি সেই কথাও।
এসময় শিশুটির মা এও জানিয়েছেন, ঘটনার আগেই বড় মেয়ে তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন মেয়ে ওর বড় বোনের কাছে বলেছিল, বোনের শ্বশুর তাকে খারাপভাবে স্পর্শ করেছে।’
‘এটা নিয়ে মেয়ে তার স্বামীকে বলে উল্টো মারধরের শিকার হন।’
গত বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এর কয়েকদিন আগে শিশুটি তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়।
সেখানে শিশুটিকে একা পেয়ে বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :