বাল্যবিয়েতে এশিয়ার শীর্ষে উঠে এলো বাংলাদেশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম

বাল্যবিয়েতে এশিয়ার শীর্ষে উঠে এলো বাংলাদেশ

প্রতীকী ছবি

দেশে নারীরা নানাদিক নিয়ে সু-বার্তা বয়ে আনছে। এবং উন্নত দেশগুলো সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। তবে এরপরও যেন পিছিয়ে দেশের নারীরা। কেননা দেশে এখনো বাল্যবিয়ের হার কমেনি। নারীর অধিকার এখনো অকপটে বৈষম্যে শিকার।  

বিশ্বে বেশি বাল্যবিয়ে হয় এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আর এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে। বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশেরই বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগে।
 


শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের একটি যৌথ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ‘গার্লস গোলস: হোয়াট হ্যাজ চেঞ্জড ফর গার্লস? অ্যাডলসেন্ট গার্লস রাইটস ওভার ৩০ ইয়ার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিশোরীদের এখনও প্রতিনিয়ত বৈষম্য, সহিংসতা, বাল্যবিয়ে, শিক্ষার সুযোগের ঘাটতি এবং সুযোগ স্বল্পতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সন্তান জন্ম দিচ্ছেন ২৪ শতাংশ নারী। গত এক বছরে সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের ২৮ শতাংশ। এই বয়সী বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে মাত্র ৪৭ শতাংশ নিজেদের প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়ে জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

‘এছাড়া বাংলাদেশে কিশোরী কন্যাশিশুদের মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া সম্পন্ন করার হার ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশ। বিশ্বে যে সাতটি দেশে কিশোরী মেয়ে ও তরুণ নারীদের ডিজিটাল দক্ষতার হার ২ শতাংশ বা তার চেয়ে কম সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।’

বাংলাদেশে নিয়োজিত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, বাংলাদেশে কিশোরী মেয়েরা একটি অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায়। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা ও বৈষম্য তাদেরকে আটকে রাখছে। এই আন্তর্জাতিক নারী দিবস সব বাধা দূর করে সবার জন্য সমান সুযোগ ও আশার সঞ্চার করুক। 

আরবি/জেডি

Link copied!