২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলডিসি উত্তরণের আবেদন করা হয়েছিল। তাই মুখ্য সচিবকে প্রধান করে উত্তরণ অগ্রগতি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। কমিটি জাতিসংঘের কাছে সময় পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ পুনর্বিবেচনা করতে পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি করা হয়েছে। ইআরডি সচিব ও এফআইডি সচিব এ কমিটির সদস্য।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে চাচ্ছি। সে বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক নির্ভরতা বেড়ে গেছে ২০১০ সাল থেকে। কমে গেছে অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস। ৭ শতাংশের নিচে নেমে গেছে কর-জিডিপির হার। যদি আরও ঋণ নিতে হয়, আরও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের সূচকগুলো কি ভুয়া ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মনে করুন সব সঠিক, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি কী? আমরা যে বাজারসুবিধাটা পাই, তার ৮৫ শতাংশই হচ্ছে তৈরি পোশাক খাতে। এখানে আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে। ২০১৮ সাল থেকে বলছি, এলডিসি থেকে বের হব। ৭ বছরেও একটা খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমল না কেন?
এলডিসি থেকে উত্তরণ স্থগিত থাকবে কি না, জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, এখনো সেই সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। ব্যবসায়ী ও পোশাক শিল্পের মালিকদের সঙ্গে বসতে হবে। এখনই তা বলতে পারব না।
বাংলাদেশ চাইলেই কি তা স্থগিত করতে পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এটা পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে নয়। তবে আমরা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারি। আবেদনের সঙ্গে যথাযথ কারণগুলো উল্লেখ করতে হবে এবং একটা বিশ্বাসযোগ্য রূপরেখা দিতে হবে। আমরা সেদিকেই যাব।
আপনার মতামত লিখুন :