প্রথমবারের মতো কমল ফিতরা। মূলত আটাসহ কিছু পূন্যসামগ্রির মূল্যের উপর ভিত্তি করে ফিতরা আদাল করতে হয়।
আর সেই পূণ্যগুলোর বাজারদর এবার কমায় ফিতরা হারও কমেছে।
মঙ্গলবার (১১মার্চ) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক সভায় এবারের ফিতরা হার নির্ধারণ করে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি।
ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী, সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব হয়।
যা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই গরিবদের মধ্যে দান করতে হয়।
এক্ষেত্রে গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যের যে কোনো একটি অথবা এর দাম গরীব দুস্থকে দানের মাধ্যমে ফিতরা আদায় করার বিধান রয়েছে।
ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১০ টাকা মূল্য ধরে দান করতে হবে, যা আগের বছর ছিল ১১৫ টাকা মূল্য হিসেবে।
এক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৫৩০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
তাছাড়া খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে, যা ছিল ২ হাজার ৪৭৫ টাকা।
আর কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা দিতে হবে, গত বছর ছিল ২ হাজার ১৪৫ টাকা।
আর পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৮০৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে, গত বছর যা ছিল ২ হাজার ৯৭০ টাকা।