সপ্তাহ খানেক আগে জানানো হয়েছিল, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ৮ গুণীকে মনোনীত করা হয়েছে। প্রকাশ করা হয়েছিল তালিকাও। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তা প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম তালিকায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর নাম।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় নেই মুক্তিযুদ্ধের এই সর্বাধিনায়কের নাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তালিকায় দেখে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
তবে সরকারি সূত্র বলছে, ১৯৮৫ সালে একজন ব্যক্তিকে জাতীয় জীবনে তার অসাধারণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার সম্মাননায় ভূষিত করা হয়; তাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়। সেই ব্যক্তি হলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল (অব.) এমএজি ওসমানী। এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রথম তালিকায় ভুল করে তার নাম এসেছিল। এজন্য প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়েছে তার নাম।
গণমাধ্যমকেও একই কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর) এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
এছাড়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করেছে সরকার। অর্থাৎ তাকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল করা হয়েছে। ২০০৩ সালে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর সাত বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :