বেশ আলোচনায় ছিল এবার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক, ২০২৫’ পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী। তবে শেষ পর্যন্ত সেই চূড়ান্ত তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়েছে।
কিন্তু তার নাম কেন বাদ পড়েছে এ নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। এরপ্রেক্ষিতে একটি ব্যাখ্যা এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে।
ব্যাখ্যায় সরকার বলছে, এম এ জি ওসমানী আগে একবার এই পুরস্কার পেয়েছেন। আর একাধিকবার এই পাওয়ার ‘উদারহণ’ নেই। যে কারণে তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একটি বিবৃতি দিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৯৮৫ সালে জাতীয় জীবনে তার অসাধারণ অবদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে (অব:) স্বাধীনতা পুরস্কার সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিকভাবে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিল।’
‘কিন্তু কোনো বাংলাদেশির একাধিকবার রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার নজির নেই। তাই এই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়।’
এরআগে একদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে সাতজনের নাম স্থান পেয়েছে।
তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর) ও সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর ও প্রতিবাদী তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর) এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
