ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

কাজ ছাড়াই বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতনভাতা নিচ্ছেন: দুদক

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো কাজ না করেই নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে দুদকের রংপুর অফিসের পরিচালক হোসেন শরীফের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনিয়ম ও অবৈধ বেতন উত্তোলনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তা।

২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইনস্টিটিউট থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১২ সালে এক জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গবেষক ভর্তি শুরু হয়। কিন্তু অনুমোদন না থাকায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজের মেয়েকে গবেষক হিসেবে ভর্তি করানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত ২০৫ জন গবেষক ভর্তি হন। তবে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা কোনো কাজ না করেও বেতন নিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই দুদক অভিযান চালায়।

দুদক কর্মকর্তা হোসেন শরীফ বলেন, নীতিমালা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করায় ভর্তি হওয়া গবেষকরা ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেননি। কাগজপত্র যাচাই করে আমরা এর সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টি কমিশনে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, আমি যোগদানের পর জানতে পারি, এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক আমি নিজেই। এরপর আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখি। প্রথম দিকে ইনস্টিটিউটের কোনো অনুমোদন ছিল না। মে ২০২৪ সালে অনুমোদন দেওয়া হলেও নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। আমি নিজ উদ্যোগে নীতিমালা তৈরির কাজ করছি।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।