গণমাধ্যমে একজন সাংবাদিকের বেতন সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকার নিচে নামা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় প্রেস সচিব বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনার আমলে কোনো মিডিয়া ফ্রিডম ছিলো না। সাংবাদিকদের হাত দিয়েই এই ফ্যাসিস্ট আমরা পুশ ব্যাক করেছি।’
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা রক্তচোষার মতো হয়ে গেছে। আমি মনে করি সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলো এখানে ফেল করছে। তাদের আওয়াজ তুলতে হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সাংবাদিক ভালো বেতন পাক। এক্ষেত্রে মিনিমাম একটা ফ্লোর থাকতে হবে।
মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমরা দেখেছি, এ সাংবাদিকদের মাথায় হেলমেট নেই। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট নেই তার মাঝেই তারা হৃদয় দিয়ে কি দারুণ কাজ করেছে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা হচ্ছে অকুতোভয় সাংবাদিক।
সাংবাদিকতা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা ব্লাড সাকিং ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেক সাংবাদিক যেন ভালো বেতন পান। তার একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। ৩০ অথবা ৪০ হাজার যাই হোক এর নিচে নামা যাবে না।’
মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সাদিক কাইয়ুম, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সাবরিনা বিনতে আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাফিল ফরাজী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মূখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ প্রমুখ।