জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় পৌছাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চারদিনের এই সফরে আসছেন তিনি।
গুতেরেসকে বহনকারী এমিরেটসের একটি ফ্লাইট (ইকে-৫৮৬) আজ বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত সূচিও তোলে ধরেন।
ব্রিফিয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক রফিকুল আলম বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রমজান সংহতি সফরের অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ র্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।’
‘এ সফরকালে তিনি অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠকে অংশ নেবেন।’
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামীকাল শুক্রবার সকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
‘রোহিঙ্গা সমস্যা ও সমাধান সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে জাতিসংঘের সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ আলোচনায় স্থান পাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে’, বলেন মুখপাত্র রফিকুল।
পরে দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। সেখানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক আয়োজিত ইফতারে অংশ নেবেন এবং রাতে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
পরদিন ১৫ মার্চ (শনিবার) সকালে জাতিসঘের কমন প্রিমাইস-এ একটি ফটো এক্সিবিশন তিনি পরিদর্শন করবেন।
ওইদিন দুপুরে সংস্কার বিষয়ক একটি গোলটেবিল আলোচনা, তরুনদের সাথে একটি সংলাপ এবং সুশীল সমাজের সাথে একটি সভায় অংশ নেবেন।
এদিন বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে একটি যৌথ মিডিয়া ব্রিফিংযে অংশ নেওয়ার পর তিনি তার সম্মানে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজে অংশ গ্রহণ করবেন। এরপর ১৬ মার্চ সকালে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
‘জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফরের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ক্রমহ্রাসমান মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পুনরায় গতিশীল হবে এবং চলমান সংকটের দ্রুত ও গ্রহণযোগ্য সমাধানকল্পে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরালো হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে’, বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল।
আপনার মতামত লিখুন :