ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) এবং দুইজন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তাঁরা বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান এবং নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

আবুল হাসনাত খান সর্বশেষ সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন, আর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এই বরখাস্তের তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনগুলোতে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ কারণে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি অতীতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক বিভাগে উপকমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

একইভাবে, পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ফকিরহাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে, নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত বছরের ২০ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হত্যা মামলা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এই দুই কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।