দেড় বছর আগে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েকজনকে মারধর করে আলোচনায় এসেছিলেন পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি (অতিরিক্ত উপকমিশনার) হারুন অর রশিদ।
যদিও ওই এডিসির অভিযোগ ছিল, প্রথমে তার নারী সহকর্মীর (এডিসি) চিকিৎসা জন্য সহযোগিতা করতে গিয়ে তার স্বামী ততকালীন রাষ্ট্রপতির এপিএস হাসপাতালে ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা করেছিল।
ওই ঘটনা তখন ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । যা আলোচনা তৈরি করে সারাদেশে।
ওই এডিসি ছিলেন পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশিদ। আর যাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিন।
আলোচনা ছিল এডিসি হারুন ও আজিজুলের স্ত্রীর মধ্যে ‘পরকিয়ার’ সম্পর্ক ছিল। তবে তা অস্বীকার করেন দু’জনই। যদিও ওই সন্দেহের কারণেই এপিএস আজিজুল প্রথমে হাসপাতালে ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা করিয়েছিল বলেও আলোচনা ছিল।
ওই ঘটনার তখন পর একে একে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন তথ্যে কখনও এডিসি হারুন ‘দোষী’ হোন। আবার কখনো হতেন ‘নির্দোষ’। এমন নানা তথ্যের মধ্যেই ওই কাণ্ডে প্রথমে এডিসি হারুনকে বদলি করা হয় রংপুরে। এরপর সেখান থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় আনা হয়। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে হারনকে ওএসডি করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় এডিসি সানজিদাকেও প্রথমে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। তবে সেখানে যোগদানের আগেই ডিএমপিতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। গত ৫ আগস্টের পর তাকেও ওএসডি করা হয়।
আর একই কাণ্ডে সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির সাবেক এপিএস মামুনকে কোনো প্রকার শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে গত ৫ আগস্টের পর তিনিও আছেন ওএসডি হয়ে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ওএসডি হওয়ার কারণে হারুন-সানজিদা-মানুন তিনজনই এখন ঢাকাতে রয়েছেন। এরমধ্যে মামুন আর সানজিদা এখন একসঙ্গেই থাকেন।
আপনার মতামত লিখুন :