কানাডা গিয়ে সরকার বিরোধী লেখালিখি, রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

কানাডা গিয়ে সরকার বিরোধী লেখালিখি, রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ- ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি ছাড়াই কানাডা চলে যাওয়া এবং সেখানে থেকে সরকার বিরোধী লেখালিখির কারণে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। তিনি মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইতোমধ্যে তার এবং তার পরিবারের পাসপোর্টগুলো বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি তার এহেন কর্মকান্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হারুনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার পদে বহাল থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।

তাছাড়া দেশে ফিরে আসার পরিবর্তে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তার যাত্রা বিলম্বিত করেন। এবং মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন। গত ৬ মার্চ তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি ফেরত আসেননি।

কিন্তু আজ তার ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি ‘A Plea for Bangladesh-and for Myself Subject: Bangladesh’s Descent into Anarchy under Yunus-The World’s Silence is painful’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেছেন।

 

‘যেখানে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন।’

‘তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন’, বলা হয় মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন করে ফেসবুকে এধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এরূপ রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।’

‘বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।’

এসব কারণেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূত হারুন ও তার তার পরিবারের পাসপোর্টসমূহ বাতিল করছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও মন্ত্রনালয় জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘মন্ত্রণালয় তার কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ ধরনের কর্মকান্ড কোনোভাবে প্রশয় দেয় না এবং ভবিষ্যতেও যারা এ ধরনের কর্মকান্ড করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

আরবি/ফিজ

Link copied!