আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ উপকূলরেখার সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রামের উপকূলে যে কোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব, যা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে নেবে।

ড. ইউনূস আরও বলেন, কক্সবাজার এখন শুধু একটি পর্যটন শহর নয়, এটি অর্থনীতিরও কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

নেপাল ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সেভেন সিস্টার্স) রাজ্যগুলোর কোনো সমুদ্র নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, পারস্পরিক সুবিধার জন্য তারা বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বাণিজ্যিকভাবে সক্ষম হই, তাহলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজারের লবণ উৎপাদনকারীদের কাছে জানতে চান, বিদেশি আমদানিকারকরা কি বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানি করতে আগ্রহী। কেননা, এখন কক্সবাজারের কৃষকরা লবণ রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে পরীক্ষামূলকভাবে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে জ্বালানি খাতে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতে উন্নয়ন সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, কক্সবাজার শুধু অর্থনৈতিক শক্তি নয়, এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি সম্ভাবনাময় শহর হয়ে উঠতে পারে।

এসময় তিনি স্থানীয় জনগণের কাছে জানতে চান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে তাদের জীবনযাত্রায় কী ধরনের প্রভাব পড়ছে।

এর আগে দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও পুলিশ সুপার।

পরে উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে তারা প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে নানা প্রস্তাব ও দাবি তুলে ধরেন।

আরবি/একে

Link copied!