শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী হেজাজের রহস্যজনক মৃত্যু

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৫, ১২:০৫ এএম

শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী হেজাজের রহস্যজনক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হেজাজের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ১১ মার্চ যৌথ বাহিনী ঝিগাতলার টালি অফিস রোড এলাকা থেকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করে। 

তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরদিন পুলিশ আদালতে পাঠিয়ে দেয়। আদালত অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে জামিন দেয়। জামিন পাওয়ার পর হেজাজকে ধানমন্ডি এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার বিকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

ডিএমপির ধানমন্ডি থানার ওসি আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, শনিবার ইফতারের পর বাদ মাগরিব ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তার জানাজা হওয়ার কথা ছিল। আমরা খবর পেয়ে ওই মসজিদ থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। তার মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। এ কারণে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার তারিক-উজ-জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই লাশের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিই। এ কারণে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।’

তাকওয়া মসজিদের একজন মুসল্লী জানান, বাদ মাগরিব জানাজা হওয়ার জন্য সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ধানমন্ডি থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান যে এই মৃত্যু অস্বাভাবিক। তাই লাশের ময়নাতদন্ত করতে হবে। পুলিশের কথার পরিপ্রেক্ষিতে জানাজা না করেই লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

উল্লেখ্য, হেজাজ হাজারীবাগ, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও কলাবাগান এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নামে পরিচিত। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগের বেরিবাঁধ এলাকায় প্রকাশ্যে চাপাতি বাহিনী ও দখলবাজি করার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে একটি বড় গ্রুপের নেতৃত্ব দেন হেজাজ। 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধানমন্ডির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জেল থেকে ইমন বাহিনীর চাঁদাবাজির নেটওয়ার্ক হেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বছর চারেক আগে ইমন বাহিনীর চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে হেজাজকে ধানমন্ডি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। 

৫ আগস্টের পর ইমন জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় হেজাজের গ্রুপ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। প্রকাশ্যে চলতে থাকে চাপাতি বাহিনীর দোর্দ- প্রতাপ। এরই মধ্যে গত মাসে এক ট্যানারি ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে হেজাজের গ্রুপ। পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ওই ব্যবসায়ী মুক্তি পান।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!