ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের চলতি মাসের বেতন–ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ নির্দেশনা দেয়।
এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের মতো পেনশনাররাও একই দিনে তাদের অবসরের ভাতা পাবেন।
কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন ঈদের আগে দেওয়া হচ্ছে না।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের ছাড় করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাদ্রাসা ও কারিগরি এই তিনটি অধিদপ্তর।
তিনটি দপ্তরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষক-কর্মচারী স্কুল কলেজে, ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১৩২ জন।
তাদের মার্চ মাসের বেতন এখন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাউশি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আর মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদপ্তর ২৩ মার্চের মধ্যে বেতন-ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সেটি সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহজাহান জানান, ইএফটিতে বেতন দেওয়ার কারণে কিছু জটিলতা তৈরি হয়।
সে কারণে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বেতন দিতে কিছু সমস্যা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের আগে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না।
তবে ঈদ বোনাস ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন খুব শিগগিরই ছাড় করা হবে।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এইচ. এম. নূরুল ইসলাম জানান, ঈদ বোনাস, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতনসহ তিনটি বিষয় একসঙ্গে হয়ে যাওয়ায় কাজে একটু চাপে পড়েছি।
আমরা চেষ্টা করছি মার্চ মাসে বেতন দেওয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত পারব কি না নিশ্চিত নই।
আপনার মতামত লিখুন :