ব্যক্তিমালিকানার জমি শিল্পী সংঘের নামে দেখিয়ে সাধারণ শিল্পীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে সেই জমিতে বাউন্ডারি দেওয়া হয়েছে। এখনো মাসে মাসে চাঁদা তোলা হচ্ছে। তবে শিল্পীরা অন্ধকারে রয়েছে জমি আদৌ তাদের নামে হবে কি না?
শিল্পী সমিতিকে ব্যবহার করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা, মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে বিরোধী মতের শিল্পীদের দমন-পীড়ন, নির্যাতন ও মামলায় ফাঁসিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে কাজে লাগিয়ে নানা ভাবে শিল্পীদের হয়রানি করা হলেও ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাননি কেউই।
সিন্ডিকেট করে শিল্পীদের কাজবঞ্চিত করার অভিযোগ পুরোনো। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার তোষামোদি করে সরকারি সুবিধা হাসিল করেছেন। বিতর্কিত আলো আসবেই গ্রুপ সিন্ডিকেটের সদস্যরা নাসিম-রওনক গ্যাংয়ের সদস্যরা।
স্বৈরাচার হাসিনার দোসর বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বার্থ হাসিলে মেয়াদ বাড়ান এবং নিজেদের পদ ব্যবহার করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এত কিছুর পরও থেমে নেই সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র। অভিযোগ রয়েছে, দেশে-বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
একটানা বেশ কয়েক বছর ধরে ছোট পর্দার শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতৃত্বে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী আহসান হাবিব নাসিম ও রওনক হাসান। গত দু’বারের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম সর্বশেষ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
আর সাবেক দুইবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অভিনেতা ও পরিচালক রওনক হাসান। তবে সর্বশেষ তিন বছরে দায়িত্বে পালনে প্রশংসার পাশাপাশি বেশ সমালোচিত হয়েছেন তারা।
এমনকি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে সংঘের প্যাডে বিবৃতি দিয়েও কম সমালোচিত হননি তারা। সরকার পতনের পর তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই একটি বিবৃতি দেওয়ার কারণে এ মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেই বিবৃতিটি অভিনয় শিল্পী সংঘের প্যাডে দেওয়া হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের স্বাক্ষর করা ছিল। মামলার ৫৫ ও ৫৬ নাম্বার আসামির তালিকায় নাসিম ও রওনকের নাম রয়েছে।
আওয়ামী সরকারের শাসনামলে শেখ হাসিনার তোষামোদি করে অনেকেই সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সেই তালিকায় নাসিম ও রওনকের নাম উল্লেখযোগ্য। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে নাসিম ও রওনক আওয়ামী সরকারের পক্ষে প্রত্যক্ষ কর্মকাণ্ড চালিয়ে সরকারের স্নেহধন্য হয়েছিলেন।
সে সময় বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের যে কয়জন সদস্য বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, তাদের মধ্যে নাসিম-রওনক অন্যতম। তাদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হলেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
রয়েছেন এখনো অধরা। এমনকি আসন্ন অভিনয় শিল্পী সংঘের নতুন মেয়াদের নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে জানা গেছে। আগামী ১৯ এপ্রিল অভিনয় শিল্পী সংঘের ২০২৫-২৮ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এরই মধ্যে অনেকেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে একই পদে নির্বাচনে লড়ার ইঁদুর দৌড়ে আছেন নাসিম-রওনক হাসানও। স্বৈরাচার ঘরানার শিল্পীদের নিয়ে চুপিসারে করেছেন ছায়া প্যানেল। যার নেতৃত্বে শেখ হাসিনার সুবিধা নেওয়া এই নাসিম-রওনক।
বলা দরকার, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ২০২২-২৪ মেয়াদে নির্বাচনে জয়ী হয়ে দুই বছর মেয়াদি এই সংগঠনটি রাতারাতি পরিবর্তন এনে ৩ বছর করা হয়। যার মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের রাতের ভোটকে সহযোগিতা এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা। করেছেনও বটে।
অভিনয় শিল্পী সংঘের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন নাসিম-রওনকরা। তাদের এই কূটকৌশলের নেপথ্যে থেকে ভূমিকা রেখেছিলেন ‘আয়নাঘর’ সৃষ্টি এবং গুম-খুনের মূল হোতা বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বান্ধবী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, তানভীন সুইটি, শামীমা তুষ্টি, নিপুণ আক্তার, রিয়াজ আহমেদ, তারিন জাহান প্রমুখ।
সরকারি কাজ বাগিয়ে নিয়ে ভাগ করে নিতেন তারা। আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সাবেক এমপি ফেরদৌস আহমেদ, রিয়াজ আহমেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে নানা অনিয়মে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দেড় দশকের আওয়ামী লীগ শাসনের অবসানের পরও থেমে নেই তাদের ষড়যন্ত্র।
সময়টা ২০২৪। জানুয়ারির শেষদিকে অভিনয় শিল্পী সংঘের ফান্ডে দশ লাখ টাকা প্রদান করেন সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম এবং আইন ও কল্যাণ সম্পাদক ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। বিষয়টি সে সময় ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলেন সহকর্মীরা। তখন তারা জানিয়েছিলেন ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ‘তোমার চোখে বাংলাদেশ’ নামক একটি ইভেন্ট করেছিলেন তারা। সে
খান থেকে পাওয়া পারিশ্রমিক অভিনয়শিল্পী সংঘের ফান্ডে জমা দিয়েছেন। হঠাৎ করেই সংগঠনের প্রতি তাদের প্রেম দেখে চায়ের টেবিলে আলোচনায় জায়গা করে নেন। ৩৬৫ দিনে ৬৫ দিন কাজ না করা নাসিম, রওনক, সাজু, ঊর্মিলাদের হঠাৎ সংগঠনপ্রীতি দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। প্রশ্ন ওঠে, তাদের আয়ের উৎস নিয়ে।
কারণ ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাওয়া এই দুই অভিনেতার আড়াই লাখ টাকা করে দেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন জন্ম দেয়। অনেকেই আবার সে সময় বলাবলি করেন সামনের নির্বাচনে নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়াতে হঠাৎ করেই সংগঠনের প্রতি প্রেম বাড়িয়ে দিয়েছেন নাসিম-রওনকরা।
ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি হয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে অভিনয় শিল্পী সংঘের প্রধান নির্বাচন কমিশনরা খায়রুল আলম সবুজ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক প্রার্থী হত্যার মামলার আসামি এ বিষয়টি আমি জানতাম না। অভিযোগ পেলে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
অভিনয়ে অনিয়মিত নাসিম-রওনক বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে বেশ সরব রয়েছেন। বিটিভির নাটকগুলোতেও ছিল তাদের নিয়মিত উপস্থিতি। সংগঠনের পদ ব্যবহার করে বেশ অল্প দিনেই কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তারা।
আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সক্রিয় এই দুই সদস্যর সংগঠনের ফান্ডে টাকা দেওয়ার কারণ খুঁজতে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। জানা গেছে, বিগত মেয়াদে অভিনয় শিল্পী সংঘের পদ ব্যবহার করে তদবির বাণিজ্যসহ বিভিন্ন টেন্ডার বাগিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছেন তারা।
নামে-বেনামে সরকারি কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে নাসিম ও রওনকের বিরুদ্ধে। তাদের কাজে সহযোগিতা করত ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, তানভীন সুইটি, শামীমা তুষ্টি, তারিন জাহান, নিপুণ আক্তার, ফেরদৌস, রিয়াজসহ অনেকেই। যৌথভাবে সরকারি টেন্ডার বাগিয়ে ভাগ করে নিতেন তারা।
সরকার পতনের আগে একশ কোটি টাকার প্রজেক্টের প্রস্তাবে ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় নাসিম-রওনকদের প্রকল্পের নামে। দেশব্যাপী ট্যালেন্ট হান্ট করে তারা সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন করে আওয়ামীপন্থি শিল্পীদের নিয়ে। যার দায়িত্বে ছিলেন নাসিম, রওনক, ঊর্মিলা, সাজু খাদেমরা। নামে মাত্র ট্যালেন্ট হান্ট করে অর্ধেকের বেশি টাকা নিজেদের পকেটে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের মাধ্যমে অনেক কাজই হাতিয়ে নিতেন তারা। এ ছাড়াও সাজু খাদেম ডিজিএফআই-এর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সহযোগিতায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করতেন বলে জানা গেছে। তারা দুজনসহ পরিচালক যুবরাজ খান, নাসিম, রওনক, ঊর্মিলা, শামীমা তুষ্টিরা মিলে নামে-বেনামে একাধিক ফার্ম করেছেন সরকারি কাজ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। তাদের মধ্যে অনেকেই সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখে ছিলেন।
এ ছাড়া ‘তোমার চোখে বাংলাদেশ’ নামক একটি ইভেন্ট করে ২৭ কোটি টাকা নিজেদের পকেটে নেন তারা। সেই টাকা থেকে মাথাপিছু আড়াই লাখ টাকা করে ওই ফান্ডে জমা দেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সহযোগী এই শিল্পীরা। শুধু তাই নয়, ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজপথ, এফডিসি, বিটিভি থেকে শুরু করে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সক্রিয় থেকে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেন নাসিম-রওনকরা। ফলস্বরূপ মোটা অঙ্কের টাকা ঘরে তোলেন।
নাসিম-রওনক সিন্ডিকেটের সদস্য বলে পরিচিত রাশেদ মামুন অপু, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শামীমা তুষ্টি, সুইটি, জ্যোতিকা জৌতি, বিজরী বরকতউল্লাহ, মাসুদ রানা মিঠু (মোটা মিঠু), মুকুল সিরাজ, সুজাত শিমুল, আশরাফুল আশীষ ও তানভীর মাসুদ প্রমুখরা ভোল পাল্টে চেষ্টা করছেন বলে সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এই সিন্ডিকেট সদস্যরা এখনো ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের পুনর্বাসন করতে গোপনে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
নাসিম-রওনকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ফিরিস্তি এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন নারী শিল্পীদের বাসায় গিয়ে ব্যক্তিগত সময় কাটানো এবং প্রভাবশালীদের কাছে সাপ্লাই দেওয়ার অভিযোগ অনেক দিন ধরেই। সরকার পতনের পর থেকে তা বেশ জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। তবে এ নিয়ে কখনোই কেউ মুখ খোলেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘নাসিম-রওনক সংগঠনের জন্য কিছু কাজ ভালো করেছেন। তবে ব্যক্তিগত ফায়দা বেশিই নিয়েছেন। সংগঠনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল, টেন্ডার বাণিজ্য এবং ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থানসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
মামলা হওয়া সত্ত্বেও ফের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাও আবার আওয়ামীপন্থি শিল্পীদের নিয়ে গোপনে প্যানেল সাজিয়েছেন। তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।’
এ ছাড়া অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্য অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে সহযোগিতা চাইলে এড়িয়ে যান নাসিম-রওনক। নিজ সদস্যকে পাশ কাটিয়ে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের পক্ষ নেন তারা।
পরবর্তী সময়ে আদালতে প্রমাণিত হয়, স্বর্ণাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। তার বিরুদ্ধে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য প্রধান করেন। এ নিয়ে ৫ আগস্টের পর স্বর্ণা হারুনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আহসান হাবিব নাসিম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা তোলা হচ্ছে। আমরা কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই। তবে একটা বিষয়ে আমাদের ভুল হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দেওয়াটা।
গত আট বছরে শিল্পীদের জন্য আমরা অনেক কিছুই করেছি। সর্বোপরি সরকারের কল্যাণ ট্রাস্টের সঙ্গে প্রায় এক হাজার সদস্যদের যুক্ত করেছি। শিল্পীরা কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে না, যখন যে সরকার থাকে, সেই সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের উপস্থিত থাকতে হয়।
তবে এটা ঠিক আমাদের সংগঠনের অনেক সদস্য ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। ওই সময় আমি নিজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহত ছাত্রদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি।
রওনক হাসানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অনুষ্ঠানে আছি, পরে ফোন দিতে চাইলেও তিনি আর যোগাযোগ করেননি। রাশেদ মামুন অপু রূপালী বাংলাদেশকে জানান, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হত্যা রয়েছে এটা ঠিক, এ বিষয়ে আগামী ২৫ মার্চ সিদ্ধান্ত হবে।