সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের বৈঠক ঘিরে যখন উত্তাল সারাদেশ তখন অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
রোববার (২৩ মার্চ) জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে রাজধানীর সেনা মালঞ্চে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন সেনাপ্রধান নিজেই।
.jpg)
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নেন ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বেসামরিক পরিমণ্ডলের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকরা। তবে দেখা যায়নি ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সমন্বয়কদের কাউকেই।
ইফতার মাহফিলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সেনাবাহিনীর সহানুভূতি ও সহায়তার কথা জানান। তিনি এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অবদানের প্রশংসা করেন এবং তাদের অবিচলিত মনোবলেরও প্রশংসা করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৪২১৫ জনকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে এবং এর মধ্যে ৯৮৯ জন আহতের সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে ৩৯ জন সিএমএইচ, ঢাকাতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
.jpg)
সেনাপ্রধান জানান, সেনাবাহিনী তাদের চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা ও মনোবল ধরে রাখার জন্য সার্বিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীদের পাশে সেনাবাহিনী থাকবে এবং তাদের পুনর্বাসনে সমস্ত চেষ্টা করা হবে।’
এছাড়াও, ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে সেনাপ্রধান স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং তাদের সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :