শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ০২:৪০ পিএম

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সেই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, দুর্নীতি, লুটপাট এবং গুম-খুনের মাধ্যমে এক ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত সব বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমরা এই সুযোগ কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।

তিনি আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কার পেলে যে আনন্দ, দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য; তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা যেন ভবিষ্যতে একটা নিয়ম করে, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হবে, তাদের পুণ্যকর্মের জন্য সম্মান জানানো শেষ করে, যারা জীবিত আছেন তাদেরকে পুরস্কৃত করি। তারা আমাদের জাতিকে মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পুরস্কার দিয়ে আমরা শুধু তাদেরকে সম্মানিত করছি না, বরং জাতি হিসেবে নিজের সম্মানও অর্জন করছি।

তিনি বলেন, এ বছর সরকার ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তারা সবাই বাংলার সূর্যসন্তান।

 

আরবি/এফআই

Link copied!