মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এবং ৬টা ১১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মবলিদানকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার মেনে তাদের সালাম জানায়। পরে স্মৃতিসৌধে প্রদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা।
এদিনের অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে আজ সকালে ৩১ বার তোপধ্বনি দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে, যাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়। দেশের হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোয় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার, সুশাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনমুখী উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আসুন, এ মাহেন্দ্রক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশের উন্নয়ন, শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিই।
আপনার মতামত লিখুন :