বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে।
মার্কিন দূতাবাস বলছে, মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কীভাবে বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে, সে বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি ২৪ ও ২৫ মার্চ (সোম ও মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সফর করেছেন। দু’দিনের সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের দৃঢ়সম্পর্ক অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি পারস্পরিক নিরাপত্তা স্বার্থ ও চলমান সহযোগিতার বিষয়সমূহ তুলে ধরেন বলে মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
দু’দিনের সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয় বলেও মার্কিন দূতাবাস জানায়।
দূতাবাসের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আলোচনায় যৌথ নিরাপত্তা স্বার্থ ও চলমান সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশীয় নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান সহযোগিতার স্বীকৃতি। বিশেষ করে দুর্যোগ মোকাবিলার মতো জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান।
এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধান সামরিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সেসব বিষয় উঠে এসেছে। চলতি বছরের গ্রীষ্মে অনুষ্ঠেয় ‘টাইগার লাইটনিং’ মহড়া নিয়েও কথা হয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সরঞ্জাম ক্রয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর পেশাদারির প্রশংসা করেন জোয়েল। এছাড়াও বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পেশাদার সামরিক বাহিনীর গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এরআগে গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পাশাপাশি তিনি কানাডাও সফর করেছিলেন।
ওই সফরে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।