২৭ বছর আগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মৃত্যুর পর নিজের মরদেহ দান করবেন।
সেই ইচ্ছে অনুযায়ী ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুনের মরদেহ দান করেছে তার পরিবার।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সন্জীদা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপন ও গবেষণার জন্য তার মরদেহ দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ।
তিনি বলেন, “২৭ বছর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবারের সবাই মরদেহ হস্তান্তরের ব্যাপারে সম্মত হই। আজকে দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি।’
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান।
ওই রাতে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে তার কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে।
সেখান থেকে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ নেওয়া হয় তার সাবেক কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
তারপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাকে শেষ বিদায় জানান শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ।
বুধবার রাতে মরদেহ আবারও রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে।
আজ পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।