ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫

নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৫, ০৩:১০ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল খুশির ঈদ, না হলে পরশু। এবারের ঈদে নাড়ির টানে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন, যার জন্য তিলোত্তমা মহানগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা। নগরবাসীর নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি ও অতিরিক্ত টহল। 

কেননা, ফাঁকা ঢাকার সুযোগ নিয়ে পেশাদার অপরাধী কিংবা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর বা নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে। হুমকি ঠেকাতে কড়া নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা-অফিস, কেপিআইভুক্ত স্থাপনা ও বিমানবন্দরসমূহে বাড়তি পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা নগরী এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির আওতায়। 

এদিকে, গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবার ঈদ ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি দেখছেন না।

আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ঢাকাসহ সারা দেশে নিñিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছে। ঈদের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সার্বিক বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন পুলিশপ্রধান বাহারুল আলম। 

পুলিশসহ সব সংস্থার এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ঈদ শেষ করে সাধারণ মানুষের কর্মস্থলে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত। আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, দেশবাসী যাতে নিরাপদে ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেন, সে জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ফাঁকা ঢাকাকে অপরাধমুক্ত রাখতেও সচেষ্ট পুলিশ।

ঈদে দীর্ঘ ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছে ডিএমপি, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার। বাহিনীগুলোর সদস্যরা সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছেন। 

অপরাধ রোধে নগরীতে ২০ হাজার পুলিশ তৎপর রয়েছে। রাস্তায় তল্লাশি চৌকি বসানোর পাশাপাশি বিপণিবিতান ও আবাসিক এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। 

ঈদে নগরবাসী ঢাকা ছাড়ায় বাসাবাড়ি, ফ্ল্যাট ও অফিস ফাঁকা হয়ে গেছে। ফাঁকা ঢাকায় সব ধরনের অপরাধ বেড়ে যায়। আতঙ্কে থাকে নগরীর বাসিন্দারা। বিশেষ করে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ভয় সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছরের ন্যায় এ ধরনের অপরাধ মাথায় রেখে রেখে ঈদের আগে ও পরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছে ডিএমপি। 

বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে রাতের বেলায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল। নগরবাসীকে উদ্দেশ করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, আমাদের ব্যবস্থাপনাটা আমরা করব।

এর আগে, গত মঙ্গলবার আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়ানোসহ ১৫ দফা নির্দেশনা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব কটি ইউনিট ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টা নিরলস কাজ করছে। 

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের প্রাক্কালে দেশব্যাপী সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে দেখছে তারা। রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ দেশের অন্যান্য বড় বড় শহর ও বন্দরে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে। 

চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথে আকস্মিক দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, রেসকিউ বোট, ডুবুরি, অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে র‌্যাবের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। এবার র‌্যাবের তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। প্রথম স্তরে সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম চালানো। 

দ্বিতীয় স্তরে ছিনতাইকারী ও মলম পার্টির হাত থেকে রক্ষা করতে সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছেন। তৃতীয় স্তরে মোবাইল স্ট্রাইকিং কোর্ট রয়েছে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ঈদের ছুটিতে রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তায় গোয়েন্দা কার্যক্রম ও টহল জোরদার করা হয়েছে। 

এ সময় ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। গোয়েন্দা, ফুট প্যাট্রোল, মোবাইল প্যাট্রোল, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও সাইবার ওয়ার্ল্ডের নজরদারি রয়েছে। এ ছাড়া র‌্যাবের মোবাইল টিম মাঠে রয়েছে। 

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। র‌্যাবের বিপুল সদস্য ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে। রাজধানীতে বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।

ঈদে নিরাপত্তা হুমকি নেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাইলে গতকাল শনিবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে কোনো হুমকি নাই।

যদি কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি থাকে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এর মোকাবিলা করব। রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, সবাই ছুটি ভোগ করছে। কিন্তু পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কিন্তু ছুটিতে যাচ্ছেন না। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা যেন সুসংহত থাকে, সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। 

এজন্য তারা ধন্যবাদ প্রাপ্য। রাজধানীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, মানুষ এবার স্বস্তির সঙ্গে এবং নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারছে। 

সরকারের বিভিন্ন জনমুখী উদ্যোগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে জনগণ এবার স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে ও ভালোভাবে ঈদযাত্রা করতে পারে এবং ঈদ শেষে নিরাপদে ঢাকায় ফিরে আসতে পারে। 

রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে ঢোকার ও বের হওয়ার রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে এবং অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

ঢাকায় ২০ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হতে হবে। ঢাকায় এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া র‌্যাব, আনসার সদস্য, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। 

ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ করতে পদক্ষেপ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জোর তৎপরতায় রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ব্যাপক পেট্রোল বাড়িয়েছি। 

বর্তমানে দিনে ২৫০ এবং রাতে ২৫০ টিম পেট্রোল দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্লকরেড হচ্ছে। পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। 

আসন্ন ঈদেও আশা করছি পুলিশের তৎপরতায় অপরাধ অনেকাংশে কম থাকবে। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি পুলিশ সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলা হলেও শাস্তি পেতে হবে। যেমন যদি কোনো ওসি মামলা না নেন, তাকেও ধরা হচ্ছে। গুলশানে ডাকাতির ঘটনা হয়েছিল, কিন্তু মামলা না নেওয়ায় তৎক্ষণাৎ ওসিকে ক্লোজও করেছি।

নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্্যাপনে ডিবি সর্বদা নগরবাসীর পাশে থাকবে: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদ্্যাপনের লক্ষ্যে ও ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 

পবিত্র মাহে রমজানে নগরবাসী যাতে নিরাপদে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারে, সেজন্য যেমন ডিবি সব সময় পাশে ছিল ও রয়েছে, তেমনি নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্্যাপনে ডিবি সর্বদা নগরবাসীর পাশে থাকবে। গতকাল শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডিবি কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম সংক্রান্তে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরীতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় প্রতিদিন জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে। 

এছাড়া মহানগর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। পুলিশকে সহায়তার জন্য এরই মধ্যে অক্সিলারি ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। 

ইউনিফর্মড পুলিশের পাশাপাশি মহানগরীর নিরাপত্তায় ডিবির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক টিম মাঠে ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া নগরবাসীর নিরাপত্তায় ডিবি ‘ভ্যানগার্ড’ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে বিপণিবিতান, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ডিবির কার্যক্রম আরও বেগবান করা হয়েছে। নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে যেকোনো প্রয়োজনে ডিবি সর্বদা নগরবাসীর সঙ্গে রয়েছে।