ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫

ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
ঈদগাহে প্রবেশ পথ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আকাশে রবিবার (৩০ মার্চ) পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে, চাঁদ দেখা না গেলে ৩০ রোজা পূর্ণ করে ঈদ উদযাপিত হবে আগামী মঙ্গলবার।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের আয়োজন সম্পন্ন করেছে। এখানে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। আশপাশের সড়কসহ প্রায় ৯০ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ভিভিআইপি গ্যালারিতে ২৫০ জনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

নামাজ আদায়ের জন্য আরামদায়ক কার্পেট বিছানো হয়েছে এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে প্রবেশপথে ‍‍`ঈদ মোবারক‍‍` লেখা তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা ও আলাদা প্রবেশপথও রাখা হয়েছে।

জাতীয় ঈদগাহে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও ফায়ার ব্রিগেডের বিশেষ টিম মোতায়েন থাকবে। দুইটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। তবে, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। রবিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম ও ঢাকার অন্যান্য ঈদ জামাতের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রবেশ গেটে তল্লাশির জন্য আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। পুরো ঈদগাহ এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। তিনটি প্রধান সড়কের প্রবেশমুখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য, সোয়াত টিম, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে। তল্লাশির ক্ষেত্রে নগরবাসীকে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং কোনও ধরনের ব্যাগ, ধারালো বস্তু বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

সবাইকে ঈদ জামাত শেষে সুশৃঙ্খলভাবে বের হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু পরিলক্ষিত হলে নিকটস্থ পুলিশ সদস্যকে জানানোর বা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।