বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫

মার্চ মাসে দেশে ধর্ষণ দ্বিগুণ!

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৫, ১২:৩০ পিএম

মার্চ মাসে দেশে ধর্ষণ দ্বিগুণ!

প্রতীকি ছবি

মার্চ মাসে ফেব্রুয়ারির তুলনায় দেশে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি । পাশাপাশি বেড়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনি ও অন্যান্য অপরাধ।

সোমবার (৩১ মার্চ) মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৩২টি, যা ফেব্রুয়ারির (৫৭টি) তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। এ মাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫টিতে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১৭টি। ধর্ষণচেষ্টা বেড়ে হয়েছে ৬১টি, যা আগের মাসে ছিল মাত্র ১৯টি।

এতে বলা হয়েছে, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও বিচারহীনতা ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যতম কারণ। আইনের কঠোরতা সত্ত্বেও অপরাধীদের দমন ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

এ বিষয়ে এমএসএফের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ১. সরকারের উদ্যোগ ও আগ্রহের অভাব, ২. পুলিশের কার্যকর ভূমিকা না থাকা, ৩. স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অকার্যকারিতা – এসব কারণে ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

গত মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫২টি ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে ৩৯টি, যা সবচেয়ে বেশি। বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ হয়েছে ৬টি, বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ ৩টি।

জানা যায়, সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে ৬ জন বিএনপির, ৩ জন আওয়ামী লীগের, ১ জন পথচারী, ১ জন বৃদ্ধ ও ১ জন প্রবাসী। গণপিটুনিতে নিহত ১৩, গুরুতর আহত ৫৬।

এছাড়া, মার্চ মাসে গণপিটুনির ৩৯টি ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ৭ জন ডাকাত সন্দেহে, ২ জন চুরির অভিযোগে, ১ জন রাজনৈতিক কারণে, ১ জন ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে, ১ জন অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ও ১ জন ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, ১৯ জন ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে, ৪ জন যৌন হয়রানির অভিযোগে এবং ১৪ জন ডাকাতির অভিযোগে মারধরের শিকার হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতা ও বিচারহীনতা অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ। গণপিটুনি ফৌজদারি অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক সহিংসতা ও গণপিটুনির মতো অপরাধের লাগামহীন বৃদ্ধিতে জনমনে নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।  আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আরবি/এসবি

Link copied!