সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতসহ প্রচারণায় পোস্টার না রাখার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। তবে পোস্টারের পরির্বতে করা যাবে লিফলেট।
এ ব্যাপারে আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
নির্বাচনে পোস্টার কেন রাখতে চাচ্ছেন না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এ রকমই। সে প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়টিও আছে। গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলোও ভাবছি। আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতার জন্য যে টুলসগুলো আছে সেগুলোকে শক্তিশালী করবো। ২০০/৫০০ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরো বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। আচরণবিধির বাইরেও পেনাল কোড আছে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দল নিবন্ধনের যে বিজ্ঞপ্তি- এতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামে একটি রিট করেছে। এটা শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। দু-একটি দল আবেদন করেছে। এখন ২০ এপ্রিলের মধ্যে যদি অনেক দল আবেদন করে, তাহলে এক রকম হবে। তবে ২০ তারিখ এলে বোঝা যাবে সময় বাড়ানো হবে কি না। একটি দল আবেদন করেছে। আমাদের ধারণা, ২০ এপ্রিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল আবেদন করার জন্য প্রস্তুত। বর্তমান আইন অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এ জন্য অংশীজনদের সঙ্গেও বসব।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, সীমানা নির্ধারণ আইনে করণিক ভুলটি সংশোধনের জন্য করা প্রস্তাবটা আমরা পাঠিয়েছিলাম। অনুমোদন এখনো কেবিনেট থেকে পাইনি। না পেলে বিদ্যমান আইনেই সীমানা নির্ধারণ হবে।
তিনি আরো বরেন, আগামী নির্বাচনে কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, ট্রেন বা অন্য কোনো যানবাহন সহকারে জনসভা কিংবা মশাল নিয়ে জনসভা করা যাবে না। কোনো ধরনের শো ডাউন করা যাবে না। প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন করতে পারবে না।