ঢাকা সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫

ঈদযাত্রার ১১ দিনে সড়কে ঝরল ২৪৯ প্রাণ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন-ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১১ দিনে দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪৯ জন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ২২.৬৩ জন। 

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত বছর একই সময়ে (১৫ দিনব্যাপী) সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে হিসেবে চলতি বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির হার কমেছে প্রায় ৭.৪৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবারের ঈদ যাত্রায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল সবচেয়ে বেশি। মোট ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট মৃত্যুর ৪২.৫৭ শতাংশ।

এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৩টি ছিল পথচারীদের ওপর মোটরসাইকেলের ধাক্কায়, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।

এছাড়া ৩৯ জন পথচারী এবং ৩২ জন চালক ও সহকারী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ঈদের সময় নৌপথে ৬টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন মারা গেছেন ও  আহত হয়েছেন ১৫ জন। পাশাপাশি ১৭টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।

ভৌগোলিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী: ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ৭৪টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬২ জন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম, ৭টি দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জন। 

চট্টগ্রাম জেলা এককভাবে ছিল সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ। এই জেলায় ১৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩১ জন। রাজধানী ঢাকায় ৩১টি দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ৪৮ জন।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, কিশোর ও তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনাই দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ।

নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে ১৩ দফা সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে তিন বছরের একটি সমন্বিত ও টেকসই পরিকল্পনা জরুরি। 

প্রস্তাবনায় রয়েছে: রেললাইন সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, নদীপথ আধুনিক ও জনবান্ধব করা, বিআরটিসির রুট বিস্তৃত করে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন বন্ধ করা, পোশাক শ্রমিকদের জন্য অঞ্চলভিত্তিক যানবাহনের ব্যবস্থা ইত্যাদি।

তিনি মনে করেন, এসব উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতের ঈদযাত্রা আরও নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হবে।