গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভকারী বেশে কতিপয় তরুণ বাটা, কেএফসিসহ বিভিন্ন দোকান-রেস্তোরাঁয় হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। দেশের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে আইজিপি বলেন, ‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের সনাক্ত করা হচ্ছে এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে। সরকার কোনো আইনি প্রতিবাদে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদের আড়ালে কোনো অপরাধ বরদাস্ত করব না।’
এ বিষয়ে একই বিবৃতিতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের একটি গন্তব্য হিসেবে প্রদর্শন করার জন্য একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখনই এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে দেখা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি বলেন, এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিনিয়োগকারী ছিলেন, তাদের মধ্যে কিছু বিদেশীও রয়েছেন, যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আস্থাশীল। তারা আমাদের তরুণদের কাজের সুযোগ দিয়েছেন। যারা ভাংচুরের এই জঘন্য কাজ করেছেন তারা চাকরি সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার প্রকৃত শত্রু।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি পণ্য বিক্রির অভিযোগে সিলেট নগরীর আম্বরখানা, দরগাহগেইট, মিরবক্সটুলা ও জিন্দাবাজার এলাকায় হামলা-ভাঙচুর করেন ‘বিক্ষোভকারীরা’।