জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে এ মামলায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে তোলা হবে বলে প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে। আদালতে তোলার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।
এর আগে, সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত তার বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত ১১টার পর সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। তিনি এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। উত্তরা পশ্চিম থানা ছাড়াও নীলফামারীতে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি জামায়াতের প্রয়াত আমির অধ্যাপক গোলাম আযম এবং সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করেন। এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ও যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামিকে বাঁচানোর জন্য তার সঙ্গে বোরকা পড়ে মিটিং করেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি এ আসামির কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুল হকের মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে। দায়িত্ব পাওয়ার সপ্তাহখানেক পর তিনি প্রথমে টেলিফোনে ও পরে সরাসরি ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে মামলার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এক আসামির সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রসিকিউটর পদ থেকে তুরিন আফরোজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে মা-ভাইকে হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।