এ বছর মুক্ত পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ উপলক্ষে দলটি দেশীয় সংস্কৃতি প্রদর্শন করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বৈশাখী যাত্রা/র্যালি, মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই কর্মসূচিগুলি সারা দেশের মহানগর, জেলা এবং উপজেলায় পালিত হবে।
সোমবার (০৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল জানান, পহেলা বৈশাখে সারা দেশে দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জেলা ও উপজেলায় বৈশাখী যাত্রা/র্যালি অনুষ্ঠিত হবে এবং সম্ভব হলে ইউনিয়ন পর্যায়েও এই আয়োজন করা হবে।
এছাড়া পান্তা উৎসব, লোকজ গানের অনুষ্ঠান, বৈশাখী গ্রামীণ মেলা, হাডুডু খেলা এবং আরও নানা ধরনের অনুষ্ঠান থাকবে।
তবে ১৫ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা থাকায় পহেলা বৈশাখের দিন সন্ধ্যার আগেই সব আয়োজন শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ১৬ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা নেই। তাই ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার পর এবং ১৬ এপ্রিল নানা কর্মসূচি পালিত হবে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এটি ঈদুল ফিতরের পর দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের প্রথম বৈঠক ছিল।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান (অনলাইনে), নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (অনলাইনে), আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (অনলাইনে), মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন (অনলাইনে)।
