ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ভাগ হচ্ছে এনবিআর, কার্যক্রম শুরু জুলাইয়ে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে কর-জিডিপির অনুপাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের  অবস্থান একেবারেই দুর্বল। দেশে কর না দেওয়ার সংস্কৃতি বিদ্যমান। কিন্তু রাজস্ব বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিলেও বরাবরই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে পড়ছে এনবিআর।

দেশেরে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে এনবিআর সংস্কারের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভেঙে ফেলছে অর্ধশত বছরের পুরনো এনবিআর। রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে কার্যক্রম শুরু করবে দুইটি নতুন বিভাগ।

এক্ষেত্রে রাজস্ব নীতি বিভাগের মূল কাজ হবে- আয়কর, ভ্রমণ কর, দান কর, সম্পদ কর, শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক, সারচার্জ এবং শুল্ক-কর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও বিধি প্রণয়ন, সংশোধন ও এসবের ব্যাখ্যা দেওয়া।

অন্যদিকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের মূল কাজ হবে- নীতি বিভাগ প্রণীত আয়কর, ভ্রমণ কর, দান কর, সম্পদ কর, শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক, সারচার্জ আইন ও বিধি প্রয়োগের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা। পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পদ্ধতিগত বিধিমালা প্রণয়ন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বাজেট প্রণয়ন, বাজেট বাস্তবায়ন ও লজিস্টিকস সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা।

এ বিষয়ে এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান ও সংস্থাটির সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজস্ব নীতি ও প্রশাসন একজায়গায় থাকলে সিদ্ধান্তগুলো বোঝাপড়ার মাধ্যমে হয়। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ রাজস্ব বিভাগে পুনর্গঠিত বা এ রকম কিছু একটা হবে। তবে ট্যাক্স বা কাস্টমস ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজনই সেখানে কাজ করবে।

এমন সিদ্ধান্তে সুফল বয়ে আনবে বলে তিনি মনে করছেন ।

তিনি বলেছেন, একই ব্যক্তি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এটিই মূল সমস্যা। তারা স্বাধীনভাবে আলাদা কাজ করবে। এমনকি তারা মন্ত্রণালয় বা এনবিআরে বসবে না। একইসাথে এনবিআরকে ডিপার্টমেন্ট থেকে কীভাবে ডিভিশন করা যায় সেটি নিয়ে কাজ হচ্ছে। এজন্য সক্ষমতা বাড়ানো, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, আমরা যে হয়রানির মধ্যে পড়ি তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। কারণ, নীতিটি স্বচ্ছ থাকলে প্রয়োগকারীরা তা করতে বাধ্য থাকবে। সেক্ষেত্রে কোনো অন্যায় হলে কথা বলার সুযোগ থাকবে।

১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ পুনঃপরিবর্তন করে পুনর্গঠন হবে এনবিআর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাইয়ে শুরু হবে দুই বিভাগের যাত্রা।