বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আবেগের এক বিশেষ উৎসব। কারও কাছে এটি হয়তো শুধুই ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ, কিন্তু বাঙালির কাছে এই দিনটি উৎসবের রঙে রাঙানো প্রাণের প্রতিচ্ছবি। প্রাচীনকাল থেকেই এই দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে উৎসবমুখর পরিবেশে।
বৈশাখের দিনটিকে ঘিরে রয়েছে বিশেষ কিছু খাবারের ঐতিহ্য—চিড়া, ভেজা, মুড়ি, মিঠাই, কলা ও নারকেলের মিশ্রণ তো আছেই, পাশাপাশি পান্তা-ইলিশ যেন এই উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
এই উৎসব ঘিরে বাজারেও বাড়ছে উত্তাপ, বিশেষ করে পদ্মার ইলিশ নিয়ে শুরু হয়েছে সরব প্রস্তুতি। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ মিলছে ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকায়। দেড় কেজির ইলিশের দাম ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,২০০ টাকায়।
এদিকে রমজানের শেষের দিক থেকেই চালের বাজারে দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। ইদুল ফিতরের পরেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজিতে ৮-১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। তবে বৈশাখকে সামনে রেখে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিক্রেতারা।
অন্যদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হলেও দাম এখনো অনেকের নাগালের বাইরে। পটল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, আর লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ টাকায়। লাল শাক ও পুঁইশাকের দাম যথাক্রমে প্রতি আটি ১৫-২০ এবং ৩০-৪০ টাকা। বিক্রেতারা দাবি করছেন, দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, তবে ক্রেতারা বলছেন উল্টো কথা।
মাছ ও মাংসের বাজারেও কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত মিলেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা প্রতি কেজি, আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।
সব মিলিয়ে নববর্ষের আগমনে বাজারে যেমন প্রস্তুতির হাওয়া, তেমনি রয়েছে দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তাও।
আপনার মতামত লিখুন :