আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কারিগরি ত্রুটি। ফলে বাংলাদেশে কিছুদিনের মধ্যেই লোডশেডিং বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট ছিল। এর মধ্যে গত ৮ এপ্রিল প্রথম ইউনিটের সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের সরবরাহ বন্ধ হয়েছে শুক্রবার (১১ এপ্রিল)। পরপর দুইটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং নিয়ে বেশ চিন্তিত পিজিসিবি ও পিডিবি।
পিডিবি থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু না করলে রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকেই লোডশেডিং বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘাটতি মেটাতে ইতোমধ্যে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাসের আবেদন করেছে পিডিবি।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের রাষ্ট্রীয় সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড পিএলসি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল। ৮ এপ্রিলের পরও ৭৫০ মেগাওয়াটের বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। এখন আর কোনো বিদ্যুৎ আসছে না। তবে আজ শনিবার সন্ধ্যায় একটি ইউনিট চালু করার কথা রয়েছে।
তারা আরও জানান, শনিবার (১২ এপ্রিল) ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম আছে। দুপুর একটা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এ সময় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে আগামীকাল লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও পিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া শোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি। গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে। গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ করে পিডিবি।