বাংলাদেশের সব দল, মত ও চিন্তার মানুষ নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আজ বিশ্ববাসীর সামনে প্রমাণ করতে চাই— আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, চিন্তার ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু মজলুম ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও ভূমির অধিকারের প্রশ্নে আমরা সবাই এক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে।’
বিকেল ৩টার পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। তেলাওয়াত করেন ইসলামিক স্কলার আহমদ বিন ইউসুফ। এরপর ফিলিস্তিন ও গাজা সংকট নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার বিচার নিশ্চিতকরণ এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের বাইরে গিয়ে গণহত্যা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের জমি ফিরিয়ে দিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি— যিনি পরাক্রমশালী, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী ও মজলুমের সহায়। আমরা বাংলাদেশিরা যারা ইতিহাস জানি, প্রতিবাদের চেতনায় বিশ্বাস করি, আজ আমরা গাজার সাহসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমবেত হয়েছি।’
গণজমায়েতের শেষ অংশে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মালেক। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অনুষ্ঠিত এই মোনাজাতে অংশ নেন লাখো মানুষ। তাদের চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত।
মোনাজাতে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা, নারী-শিশু হত্যাকাণ্ড, গাজার ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়। দোয়া করা হয়— নিরস্ত্র মানুষদের জীবন রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায়।
একইসঙ্গে বিশ্ব নেতাদের বিবেক জাগ্রত হওয়ার এবং মানবতার বিরুদ্ধে চলমান এই আগ্রাসনের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :