সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

আবারও তৈরি করা হচ্ছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৯:০৭ এএম

আবারও  তৈরি করা হচ্ছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ফ্যাসিবাদবিরোধী ও শান্তির প্রতীক মোটিফ পুড়িয়ে ফেলার পর তা আবারও তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, এই প্রতিকৃতি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়—এটি একটি প্রতীক, যা অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থানের বার্তা দেয়।

তিনি বলেন, আমরা একটি বড় দায়িত্ব পালন করছি। বাধা এসেছে, ষড়যন্ত্রও হয়েছে। তবে আমরা মানবিক শক্তি, শ্রম ও আস্থাকে হাতিয়ার করেই এগিয়ে যাব। এই উদ্যোগে সবার সহযোগিতা চাই।

চারুকলা প্রাঙ্গণে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকৃতিটি দ্রুত তৈরি করতে শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ইতোমধ্যে আনা হয়েছে, এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিকৃতি গড়ার লক্ষ্যে তারা ককশীটের মতো সহজে ব্যবহারযোগ্য উপাদানের ওপর নির্ভর করছেন।

তবে, এত স্বল্প সময়ে মূল আকৃতির মতো প্রতিকৃতি তৈরি করা সম্ভব কি না—এ নিয়ে সংশয়ও রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, এক মাস ধরে বানানো একটা কাজ একদিনে তো সম্ভব নয়। তারপরও শিল্পীরা চেষ্টা করছেন। তাদের দক্ষতা ও চেষ্টার ওপর আমরা আস্থাশীল। সময়ই বলবে তারা কী করতে পারে।

শিল্পীদের এ প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শোভাযাত্রার প্রস্তুতি ঘুরে দেখে তিনি বলেন, যারা এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবাইকে স্যালুট। ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ পুড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে শিল্পীদের স্পিরিট ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু আমি এসে দেখলাম, তাদের স্পিরিট দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই—এবারের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ মিলিয়ে দাঁড়ান।

আরবি/এসবি

Link copied!