তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এক সেমিনারে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন জানান, এটি হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গেম চেঞ্জার প্রকল্প। চীন-বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ করে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা। তবে এ নিয়ে সংলাপে বসতে রাজি বেইজিং।
সম্প্রতি চীন সফর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। এ সফরের প্রাপ্তি নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
এতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, যত পরিবর্তনই আসুক বাংলাদেশ নিয়ে চীনের নীতিতে কোনো বদল হয়নি, ভবিষ্যতেও আসবে না। দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠক সেই বার্তাই বহন করে।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এর অংশ হিসেবে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চূড়ান্ত করতে যাচ্ছি যা এদেশের অর্থনীতির জন্য হবে গেম চেঞ্জার। এতে তিস্তা মহাপরিকল্পনাও রয়েছে। আমরা এটি বাস্তবায়নে প্রস্তুত রয়েছি। বাংলাদেশ স্বাগত জানালেই কাজ শুরু হবে।’
পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের সমালোচনা করে তিনি জানান ওয়াশিংটনের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চাইলে চীন সংলাপে বসতে প্রস্তুত। তবে তা হতে হবে আস্থার ভিত্তিতে। আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য সবাই যখন মুক্ত বাণিজ্যের জন্য লড়ছে। তখন এ ধরনের একক সিদ্ধান্ত কাম্য নয়।’
সেমিনারে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আশা করেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে তা পরের সরকার অব্যাহত রাখবে।
খলিলুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন অনেক সহযোগিতা করছে। প্রত্যাবাসনসহ রাখাইনে তাদের পুনর্বাসনে বেইজিং তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। নতুন পদে নিয়োগের পর এ নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ্যে তুলে ধরা সম্ভব নয়। কিন্তু এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি এই সংকটে বেইজিং আমাদের পাশে রয়েছে।’
এসময় তিনি আরও জানান, শিগগিরই স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষাখাতে নতুন সহযোগিতার ঘোষণা দেবে চীন।