বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০৩:২২ পিএম

banner

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০৩:২২ পিএম

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি

মাছ ধরার ট্রলার ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে প্রথমবারের মতো এ বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সামুদ্রিক মৎস-২ শাখার উপসচিব এইচ এম খালিদ ইফতেখার রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বঙ্গোপসাগরের ভারতের জলসীমায়ও। এ ক্ষেত্রে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার দুদিন আগে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যাবে।

এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের কোনো স্থানেই যান্ত্রিক এমনকি ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকা দিয়েও মাছ আহরণ করা যাবে না। ফলে উল্লিখিত এলাকায় কোনো ট্রলার কিংবা দাঁড়বাহী নৌকা মাছ ধরতে গেলেই আইনি ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে।

জেলে নেতারা বলেন, গত আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জেলেদের। পাঁচ মাস ইলিশ মৌসুমের তিন মাস নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশীয় জেলেদের ইলিশ শিকার থেকে বঞ্চিত করা হতো।

তারা আরও বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এই অধ্যাদেশের আলোকে বাংলাদেশের জেলেদের জুলুম অত্যাচার করা হচ্ছে। ভারতীয়রা বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে সকল ধরনের মাছ শিকার করে নিয়ে গিয়ে যেতো। এছাড়াও বাংলাদেশী জেলেদের নির্যাতন সহ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এই সময় বাংলাদেশের জেলেরা আর্থিক সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়তো।

জানা গেছে, জেলা মৎস অফিসের তৈরি করা তালিকায় বরগুনায় নিবন্ধিত জেলে অর্ধ লক্ষাধিক। এর পাথরঘাটা হচ্ছে ১৬ হাজার ৮১১ জেলে। এছাড়াও আরো কয়েক হাজার অনিবন্ধিত জেলে রয়েছে উপকূলীয় এ এলাকায়।

বরগুনা জেলা মৎসজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুম জানান, ইতিমধ্যে সাগর থেকে জেলেরা ফিরতে শুরু করেছে। এবারের অবরোধ সফল করতে সকল জেলেরা সরকারকে সহযোগিতা করবেন।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান জানান, ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এই নিষিদ্ধ সময়ে যাতে করে সমুদ্রগামী কোন নৌযান মাছ শিকারে যেতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশনকে বিষখালী নদী ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ি চরদুয়ানীকে বলেশ্বর নদীর মোহনায় চেকপোস্ট স্থাপন করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধের কারণে যাতে সাধারণ মাঝি-মাল্লারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকে সরকারের নজর রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম।

তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মাঝি-মাল্লাদের পরিবারকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় আনা হবে। যে কার্ডের মাধ্যমে তারা সরকারের কাছ থেকে রেশনিং সুবিধা পাবেন। 

আরবি/শিতি

Link copied!