প্রায় দেড় দশক পর বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ-এফওসি`তে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টার পরে ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেন তিনি।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ঢাকার সঙ্গে স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তা এগিয়ে নিতে মনোযোগ দিচ্ছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্যসহ সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে প্রায় ১৫ বছর পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠক।
মূলত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি মাসের শেষে ঢাকা সফর করার কথা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করতেই দেশটির সচিব ঢাকা সফরে এসেছেন।
খসড়া সূচি অনুযায়ী, পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। রাতে তার সম্মানে রাজধানীর বারিধারায় এক বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সংযুক্তিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হুসেন খান ইতিমধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ চায় ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে। পাকিস্তান তাদের প্রতিযোগিতামূলক দামে কিছু পণ্য বিশেষ করে তুলা বাংলাদেশে রফতানির সম্ভাবনা দেখছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তান ও ইরান থেকে পণ্য আসার একটি প্রবেশদ্বার। সেক্ষেত্রে পরিবহন খরচ কমলে বাংলাদেশের আমদানির নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।
হাইকমিশনার ইকবাল খান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে ফ্লাই জিন্নাহ ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে এয়ার সিয়াল ইতোমধ্যেই অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। অনুমোদন পেলে দুই মাসের মধ্যেই ফ্লাইট চালু হতে পারে।