অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস হয়ে গেল। এরই মধ্যে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প আর বৈদেশিক সুযোগ-সুবিধার সুখবর দিয়ে দেশের মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে তারা। তবে আস্থা থাকলেও আলোচনা-সমালোচনা আছে কিছু মহলে। পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের তাগাদা।
এদিকে, সংস্কার না নির্বাচন- এ নিয়ে দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কানাঘুষা। কেউ কেউ দ্রুত নির্বাচন চাইলেও একদল সংস্কারের পক্ষে। তারা সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবি করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশের সর্বস্তরে।
সম্প্রতি একটি পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেখক-গবেষক ও বামপন্থি রাজনীতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দীন উমর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। সেই শূন্যতা পূরণ হওয়ার দরকার ছিল দ্রুত সময়ের মধ্যে। ছাত্র-জনতা মিলে এ সরকারকে দাঁড় করিয়েছে।’
‘কারণ, সেই মুহূর্তে সরকার গঠন না করা হলে, সেই শূন্যতা পূরণ করত সামরিক বাহিনী। কাজেই তাদের দোষারোপ করা, উড়ে এসে জুড়ে বসেছে-যারা এটা বলছেন, সেটা ননসেন্স কথাবার্তা।’
তিনি বলেন, ‘দেশ পরিচালনা জন্য তাদের বসানো হয়েছে। যাতে দেশে একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকে।’
সাক্ষৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আগে যে ব্যবসায়ীরা দেশ পরিচালনা করত, এখনো তারাই দেশ পরিচালনা করছে। বাহাত্তর সাল থেকেই এই ধারা চলছে। যেখানে জাতীয় সংসদে শতকরা ৭০ জন সদস্য হলেন ব্যবসায়ী।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘এ সরকার নির্বাচিত নয়। কাজেই তাদের একটা দুর্বল জায়গা রয়েছে। তাদের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই।’
বর্তমান সরকারের কর্তব্য নিয়ে তিনি মনে করেন, ‘নির্বাচনের জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, তাদের উচিত সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে নির্বাচন দিয়ে দেওয়া।’
‘এই সরকারের উচিত এ বছরের মধ্যেই তাদের সব কাজ শেষ করে ফেলা। তাদের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করা ঠিক হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া।’
আপনার মতামত লিখুন :