ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

দেশে থাকতে চান না ৫৫ শতাংশ তরুণ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৩:১১ পিএম

দেশে থাকতে চান না ৫৫ শতাংশ তরুণ

ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী তরুণদের ভবিষ্যত নিয়ে যেন অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে। একদিকে যেমন বাড়ছে বেকারত্ব, অন্যদিকে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ। সবমিলিয়ে দেশে থাকতে চান না ৫৫ শতাংশ তরুণ।

এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের প্রায় ৪২ শতাংশ তরুণ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তাদের মতে বেকারত্বের প্রধান কারণ দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগে বৈষম্য এবং কাজ ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য না রাখা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ শীর্ষক এক গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩ হাজার ৮১ জন তরুণের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গবেষণা করা হয়।

গবেষণায় বলা যায়, ২০১৫ সালের তুলনায় এখন দেশকে সঠিক পথে এগোচ্ছে মনে করা তরুণদের সংখ্যা কমে ৫১ শতাংশ হয়ে গেছে, যেখানে ২০১৫ সালে ছিল ৬০ শতাংশ।

গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩৭ শতাংশ তরুণের মতে, বেকারত্বের মূল কারণ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি, ২০ শতাংশ তরুণ নিয়োগে বৈষম্য এবং ১৮ শতাংশ তরুণ পারিবারিক জীবনের চাপের কারণে বেকারত্বকে বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ৪৪ শতাংশ তরুণ আগামী এক বছরে ব্যবসা শুরু করতে চান।

এছাড়া, ৭২ শতাংশ তরুণ ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন, তবে ৬৫ শতাংশ তরুণ নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করেছেন।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ২৭ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার এবং ৩০ শতাংশ তরুণ মনে করেন নারীরা পুরুষদের সমান নন, ২৫ শতাংশ তরুণ নারীদের ঘরের বাইরে পুরুষের মতো স্বাধীনতা দেওয়ার বিরোধী।

শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে তরুণদের ৪৯ শতাংশ বলেছেন, পাঠদানের মান অত্যন্ত নিম্ন, বিশেষ করে আধুনিক কর্মবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন পাঠ্যক্রমের কারণে।

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ। তিনি বলেন, সরকার দেশের তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে কাজ করছে। সরকারের মৌলিক কাজ হবে মানবাধিকার রক্ষা, বৈষম্যহীন আইন ও নীতি কার্যকর এবং রাষ্ট্রে জনস্বার্থভিত্তিক নীতি কার্যকর করা।

বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থনে যুক্তরাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরবি/এফআই

Link copied!