ঢাকা: শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানিলন্ডারিংসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া, গোলাম দস্তগীরের স্ত্রী হাসিনা গাজী ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) কমিশন সভায় প্রভাশালী মন্ত্রী, এবপি সচিব এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।
জানান যায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে পরপর চারবার নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তার বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে নিজের কারখানা স্থাপন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলা, অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার শান্তিনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৫ ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। ২০২৩ সালে অল্প কিছুদিনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে দুই বিএনপি কর্মী ও একজন যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় পৃথক তিন মামলায় আসামিও হয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বরগুনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডিসহ ঠিকাদারিসংশ্লিষ্ট দপ্তরে টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে।
জেলার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাজনীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই আওয়ামী নেতা। তিন দশক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন শম্ভু। বরগুনা-১ আসনের পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :