ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪

আনিসুল হকের বান্ধবী তৌফিকার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

আনিসুল হকের বান্ধবী তৌফিকার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ‘বান্ধবী’ তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি। আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) সিআইডি‍‍`র সদর দপ্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।

সিআইডি সূত্র জানায়, বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ‘বান্ধবী’ ও ব্যক্তিগত ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত তৌফিকা করিম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি। তৌফিকা করিম আইনপেশার সূত্রে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সাবেক এই মন্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদদ ও প্রশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সিন্ডিকেট ও লুটপাটের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর অধস্তন আদালতে খাতা পরিবর্তন, জালিয়াতি, পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি প্রদান, বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা গ্রহণ করে তাদের জামিনসহ মামলার রায় পরিবর্তন করে দিতেন তৌফিকা করিম। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ঢাকার দায়রা জজ আদালত ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনিয়মের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রীর এলাকা আখাউড়া-কসবার ১৮ জন গাড়িচালক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

তৌফিকা  করিম আনিসুল হকের মালিকানাধীন সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের অবৈধ সম্পদ দিয়ে তার মাধ্যমে কানাডা, দুবাই এবং মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম হিসেবে কয়েকটি বাড়ি করেছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। বিগত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আগে ২৬ জুলাই তৌফিকা দেশ ছেড়ে কানাডা পালান বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়া, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে অর্থ পাচার একটি সম্পৃক্ত অপরাধ বিধায় তৌফিকা করিম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!