ঢাকা: বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাবের মাধ্যমে বলেছেন, পুলিশ সংস্কারের অংশ হিসেবে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিতেও তারা প্রস্তুত। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া সাইবার সিকিউরিটি, ইমিগ্রেশন সেক্টরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দিতে রাজি আছে। অস্ট্রেলিয়া আশা করে, মানবাধিকার সুরক্ষায় বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়া মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তাই কাউন্টার-টেররিজম, ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, মানবপাচার প্রতিরোধসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী তারা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) অফিসে সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে সন্ত্রাস দমন, মানবপাচার প্রতিরোধ, পুলিশ সংস্কার, বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সাথে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চলমান বন্যায় বাংলাদেশের ২২টি জেলায় কৃষিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি কৃষি পুনর্বাসনে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। তখন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের অংশীদার। বন্যা পুনর্বাসনে তারা ব্র্যাককে প্রয়োজনীয় তহবিল দিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, তারা দ্রুত কাজ শুরু করবে।
আপনার মতামত লিখুন :