ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
উত্তরে কমবে লোডশেডিং

উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম

উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র

ছবি: সংগৃহীত

৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার  দুপুর থেকে এ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ ইউনিট থেকে দৈনিক ২০০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।  

এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। ওই ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও সেটি থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে গড়ে দুটি ইউনিট থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। তথ্যমতে, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল। ২০২০ থেকে ২৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে এই তাপবিদ্যুকেন্দ্রটি। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিন ইউনিটের হলেও দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। বাকি একটি ইউনিট ওভার ওয়েলের জন্য বন্ধ থাকে। এর মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায় ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন। টানা ৩৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইউনিটটি চালু হলেও দুই দিন পর (৯ সেপ্টেম্বর) ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় চার হাজার ৮০০ টন কয়লার প্রয়োজন। তবে, তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনো চালানো হয়নি। এ বিষয়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। চায়না থেকে নতুন ওয়েল পাম্প এনে স্থাপনের পর তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। যা থেকে ২০০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এতে করে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
 

আরবি/জেআই

Link copied!