ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
শপথপত্রে সই নেন সেনা প্রধান

ভারতের নির্দেশে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম

ভারতের নির্দেশে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটে

জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন মেজর জেনারেল (অব.) প্রেকৌশলী আবদুল মতিন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। এটি ভারতের নির্দেশে আমাদের দেশে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটে। আর এই ঘটনার আমার অনেক কাছের বন্ধুরা মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার বিডিআর বিদ্রোহের কারণ নির্ণেয়ে সেনা তদন্তের ওপর আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং অশ্রভেজা চোখে এ দাবি জানান মেজর জেনারেল (অব.) প্রেকৌশলী আবদুল মতিন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে এটি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভিতরে ভিতরে তদন্ত করেছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এজন্য সাবেক সেনা প্রধান আমাদের সবার কাছে একটি লিখিত সই নেন, যে বিষয়টি বাইরে যাতে আলোচনা না হয়। এরপর সবাই লিখিত শপথপত্রে সই করলেও আমি সেটা করিনি।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নৈতিক বল ভেঙ্গে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে এই হত্যাকাণ্ড। শেখ সেলিম ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বসহ অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। বিডিআর প্রধান শাকিল সেনাপ্রধানের কাছে সাহায্য চাইলেও পাঠায়নি সেনাবাহিনী।

বিদ্রোহের কথা শুনলে বিদ্রোহ দমন করা সেনাকর্মকর্তার দায়িত্ব। সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ডের পরপরই সাঁজোয়া যানসহ মিলিটারি অ্যাকশনে যাওয়ার কথা থাকলে সেনাপ্রধান ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার করতে দেয়নি। সরকারপ্রধানের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি বলেন, ওই সময়ের সরকারপ্রধান ও সরকারি দলের যোগসাজসেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েকটি কমিশন করলেও সেগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। সেনাবাহিনীর ইনকোয়ারির রিপোর্টটিও অন্ধকারে রয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পরিণতির কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। একারণে বিডিআর বিদ্রোহ নির্ণেয়ে সেনা তদন্তের জোর দাবি জানাই।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- কর্নেল (অব:) আ: হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, ব্রি: জেনারেল (অব:) মোরশেদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আমিনুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম।

আরবি/ এইচএম

Link copied!