আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাদারীপুরের কালকিনিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইউপি সদস্য ও এক শিক্ষার্থীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে পোঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধী চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন আকতার মেম্বারের ঘর জ্বালিয়ে দেয়। শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে ঘর দেখতে গ্রামে আসে ইউপি সদস্য আকতার।
এসময় সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ইউপি সদস্য ও খুনের চর গ্রামের মতি শিকদারের ছেলে আকতার হোসেন (৪০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় তার ছেলে মারুফ শিকদার (১৮) নিহত মারুফ শরীয়তপুর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী। সংঘর্ষে সিরাজুল মৃধা (৪৫) আরও এক সমর্থক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত মেম্বারের বাবা মতি শিকদার বলেন, সুমন চেয়ারম্যান ও তার ভাই সহ একাধিক লোকজন আমার ছেলের উপর হামলা চালায় কুপিয়ে হত্যা করে এবং আমার নাতীকে হত্যা করে আমি তাদের বিচার চাই।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, সকালে বোমা বিস্ফোরণসহ মারামারিতে তিনজন নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং এপর্যন্ত তিনজনের ডেড বডি উদ্ধার করি এবং যৌথ বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই।
আপনার মতামত লিখুন :